Entertainment News

'যাব তাক হ্যায় জান' বনাম


বলিউডের ক্যালেন্ডারে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ‘দিওয়ালী’, এই দিনকে ঘিরে বলিউডবাসীর থাকে নানা পরিকল্পনা ।  প্রযোজকরা তাদের পকেট ভরাবার জন্য যেমন বসে থাকেন তীর্থের কাকের মতো, তেমনই বলিউডপ্রেমীরাও অপেক্ষায় থাকেন নতুন কোনো চমকের। আর এ বছরের ‘দিওয়ালী চমক’ যে অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় হতে যাচ্ছে আরও অনেক বেশি আকর্ষণীয়, তা এখন প্রায় সবারই জানা। এই আকর্ষণের নেপথ্যে রয়েছে বছরের সবচাইতে প্রতীক্ষিত দুই বিগ বাজেটের সিনেমা ‘যাব তাক হ্যায় জান’ এবং ‘সন অফ সর্দার’। এবছরের দিওয়ালী, অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর মুক্তি পাওয়া দু’টি সিনেমাতে রয়েছেন বর্তমান বলিউডের দুই রাঘব-বোয়াল শাহরুখ খান এবং অজয় দেবগন। মুক্তির কয়েক মাস আগে থেকেই যাদের মাঝে শুরু হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কিন্তু কে হাসবে শেষ হাসি? দু’টি সিনেমার মধ্যকার চলমান ‘যুদ্ধ’ এবং বলিউডবাসীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে লিখেছেন জেনিফার ডি প্যারিস।


শাহরুখ খান এবং অজয় দেবগনের মধ্যকার রেষারেষি বলিউডে পুরনো খবর। বলিউডের ‘কিং খান’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ যখন একচেটিয়া জনপ্রিয়তা উপভোগ করতে চান, তখনই অজয় নেমে আসেন ‘অ্যাকশন হিরো’র ইমেজ নিয়ে। তবে দুজনের এই ঠান্ডা লড়াই এবার সরগরম হয়ে উঠেছে বেশ ভালোভাবেই, একদিকে যেমন শাহরুখ মাঠে নেমেছেন ‘যাব তাক হ্যায় জান’ নিয়ে, তেমনই অজয়ের সঙ্গে আছে ‘সন অফ সর্দার’। এ বছরের ‘মোস্ট অ্যান্টিসিপেটেড’ অর্থাৎ বহুল প্রতীক্ষিত দুই সিনেমা নিয়ে মুক্তির আগেই শুরু হয় হয়ে নানা কল্পনা জল্পনা। একদিকে যেমন ‘সিংঘাম’, ‘বোল বচ্চন’ এর মত মেগা হিট দিয়ে বক্স অফিসে বাজিমাত করেছেন অজয়, তেমনি অন্যদিকে শাহর“খের সঙ্গে এবার রয়েছে ইয়াশ চোপড়া, ক্যাটরিনা কাইফ এবং আনুশকা শর্মার চমৎকার মেলবন্ধন। বড় ব্যানার, নামি দামি কলাকুশলী এবং সর্বোপরি বলিউডের দুই বর্তমান হার্টথ্রব অভিনেতা শাহরুখ খান এবং অজয় দেবগন- এ যেন বলিউড প্রেমীদের জন্য দিওয়ালীর সেরা উপহার। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর যখন মুক্তি পাচ্ছে বছরের সেরা ওই দুই সিনেমা, তখন বলা যায় একদিক থেকে ঝামেলাতেই পড়ে গিয়েছেন বলিউডপ্রেমীরা। তবে শেষমেশ প্রিয় দুই অভিনেতার মধ্যে কাকে বেছে নিবে দর্শক, এটাই এখন দেখার বিষয়।

‘যাব তাক হ্যায় জান’, বলিউডের ‘কিং অফ রোমান্স’ হিসেবে পরিচিত কীর্তিমান পরিচালক ইয়াশ চোপড়ার সর্বশেষ কাজ। ২০০৪ সালে ‘বীরজারা’ সিনেমার পর পরিচালনা থেকে বিরতি নিয়েছিলেন ইয়াশ চোপড়া। দীর্ঘ নয় বছর বিরতির পর ‘যাব তাক হ্যায় জান’ এর মধ্য দিয়ে আবারও পরিচালনায় হাত দেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, জীবনের সর্বশেষ কাজটি নিয়ে ভক্তদের প্রতিক্রিয়া জানার আগেই গত হলেন তিনি। নিজের ফিল্মি ক্যারিয়ারের শেষ কাজটি যেন সেরা হয়, তার জন্য চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখেননি ইয়াশ চোপড়া। শাহরুখের রোমান্টিক ইমেজ, ইয়াশ চোপড়ার সিনেমার নায়িকাদের চিরাচরিত শিফন শাড়ি, চমৎকার সব গান এবং সেই সঙ্গে ভালোবাসা আর আবেগে ভরপুর অভিনয়। রোমান্টিক ফিল্মের ভক্তদের জন্য বলা যায় দীর্ঘ অপেক্ষার ফসল ‘যাব তাক হ্যায় জান’। আর ‘মোজার্ট অফ মাদ্রাজ’ এ আর রহমানের সঙ্গীত পরিচালনা এতে যোগ করেছে আকর্ষণের নতুন মাত্রা। অতএব রোমান্টিক মনের দর্শকদের পদার্পণ যে এদিকেই হবে, এমনটা অনুমান করা যায় সহজেই।


অপরদিকে রয়েছে রোমান্টিক কমেডি-ড্রামা ‘সন অফ সর্দার’। তেলেগু সিনেমা ‘মারিয়াদা রামান্না’ এর রিমেক ‘সন অফ সর্দার’ কে বলা হচ্ছে অজয় দেবগন অভিনীত এবছরের নিশ্চিত হিট যা বক্স অফিস মাতাবে অনেক দিন ধরেই। ‘বোল বচ্চন’ এবং ‘সিংহম’ এর মতো বক্স অফিস সুপারহিট উপহার দেওয়ার পর সবার প্রত্যাশা আরও একবার বাজিমাত করবেন অভিনেতা অজয় দেবগন। হিমেশ রেশামিয়ার সঙ্গীত এবং অশ্বিনী ধীরের পরিচালনায় অজয়ের বিপরীতে এই সিনেমায় রয়েছেন হাল আমলের জনপ্রিয় নায়িকা সোনাক্ষি সিনহা। এছাড়াও রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত এবং একটি বিশেষ গানে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সালমান খান। ইতোমধ্যেই সালমান খানের সঙ্গে অভিনীত অজয় এবং সঞ্জয় দত্তের গান ‘পো পো পো’ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অজয় দেবগনের নিজস্ব প্রোডাকশনের সিনেমা ‘সন অফ সর্দার’ এবার বক্স অফিসে কেমন দেখাবে তার পারফরম্যান্স, তা দেখার জন্যেই অপেক্ষমান বলিউড।


সেরা হবার জন্য প্রতিযোগিতা বলিউডে নতুন কোনো ঘটনা নয়। তারই সূত্র ধরে আরও একবার মুখোমুখি হচ্ছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শাহরুখ খান এবং অজয় দেবগন। সিনেমা দু’টির মুক্তির তারিখ এক হওয়ায় কয়েকদিন আগে অজয় দেবগন ভারতের ‘কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া’ তে অভিযোগ করেছিলেন যে শাহরুখ খানের ‘যাব তাক হ্যায় জান’এর কারণে তার ‘সন অফ সর্দার’ কোনো থিয়েটারে একক প্রদর্শনীর সুযোগ পাচ্ছে না, কারণ একক থিয়েটারগুলোর সবগুলোই ‘যাব তাক হ্যায় জান’এর জন্য বুক করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টির সুরাহা করা হয়। শুধুমাত্র ভারতেই নয়, ভারতের বাইরেও যেখানে ‘যাব তাক হ্যায় জান’ বুক করেছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টি থিয়েটার, সেখানে তাকে পাল­া দিয়ে ‘সন অফ সর্দার’ বাগিয়ে নিয়েছে প্রায় ৩৫০ টি থিয়েটারের একক প্রদর্শনী। বলিউডের ব্যবসায়ী পন্ডিতরা ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন যে ১০০ কোটির ক্লাবে নাম লেখাতে যাচ্ছে ওই দুই সিনেমা।


এছাড়াও ‘যাব তাক হ্যায় জান’ এবং ‘সন অফ সর্দার’ নিয়ে বলিউডি মিডিয়াতে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এরই মাঝে শাহরুখের আরেক পুরনো শত্রু সালমান খান ঘোষণা দিয়েছেন, বন্ধু অজয়ের ‘সন অফ সর্দার’ এর পক্ষেই আছেন তিনি। আবার যখন অভিনেত্রী কাজলকে জিজ্ঞেস করা হয় বক্স অফিস জেতার এই লড়াইয়ে প্রিয় বন্ধু শাহরুখ নাকি স্বামী অজয়, কাকে সমর্থন করছেন তিনি? জবাব আসে সঙ্গে সঙ্গেই, স্বামীর পক্ষেই আছেন পতিব্রতা স্ত্রী কাজল।

তবে শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াইয়ে শেষমেশ কার পাল­া হবে ভারি, আর বক্স অফিসে শেষ হাসিটা হাসবে কে, সেটা এখন বলে দেবে সময়ই। 


==================================================================

ওপ্পা গ্যাংনাম স্টাইল!


পুরো বিশ্বে এখন এক ভাইরাসে আক্রান্ত; আর তা হলো দক্ষিণ কোরিয়ার মিউজিক ভিডিও  “গ্যাংনাম স্টাইল”। ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউব- সাইবার বিশ্বের পুরোটাই করায়ত্বে আনার পর হলিউড, বলিউড, বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন এমনকি বড় বড় বিশ্ব নেতাদের মধ্যেও ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছে মিউজিক ভিডিওটি । কোরিয়ান ভাষার এই গানের কথা কিছু না বুঝলেও, এই নাচের স্টাইল দেখে মুগ্ধ হয়নি এমন লোক পাওয়া যাবে না একেবারেই। এ নিয়ে লিখেছেন আজিজি ফাওমি খান।


এই ভাইরাস যার কাছ থেকে এসেছে তার নাম সাই। দক্ষিণ কোরিয়ার পপ সিঙ্গার। তার আসল নাম পার্ক জে সং হলেও, সাই নামেই বিখ্যাত তিনি বিশ্বের কাছে। গ্যাংনাম স্টাইল গানটি মূলত কে-পপ ঘরানার। কে-পপ হচ্ছে কোরিয়ান পপ মিউজিকের সংক্ষিপ্ত রূপ। পূর্ব এবং আর পশ্চিমের পপ মিউজিকের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ দেখা যায় এই কে-পপ এ। এই ধাঁচের গানগুলোতে বেশিরভাগ শিল্পী থাকেন কোরিয়ান, নাচের মুদ্রাগুলোতে থাকে এশিয়ার প্রভাব, কিন্তু শুনতে অনেকটাই ওয়েস্টার্ন গানের মতো শোনায়; আর সঙ্গে থাকে হিপহপ বক্সিং, ইউরো-পপ কোরাসসহ আরও অনেক কিছু।


এই কে-পপেরই প্রতিষ্ঠিত শিল্পী সাই এর ‘সাই সিক্স (সিক্স রুলস)’ অ্যলবামের গান এটি। মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল এর একটি অভিজাত শহর গ্যাংনাম এর বিগড়ে যাওয়া ধনীর দুলালদের খোঁচা মারতেই এটি তৈরি করেন সাই। গানটি নিয়ে সাই বলেন, ‘গ্যাংনামের প্রকৃত বাসিন্দারা কিন্তু এরকম নন। এই গানটির মাধ্যমে আমি তাদের নিয়েই মজা করেছি, যারা অন্ধভাবে পাশ্চাত্যের অনুকরণ করে এবং যা তারা না, নিজেদেরকে সেটাই ভাবার চেষ্টা করে।’ শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় কে-পপ ভক্তদের কথা চিন্তা করেই এটি তৈরি করেছিলেন সাই। পরবর্তীতে ইউটিউবে এটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ঘটতে থাকে একের পর এক অভাবনীয় ঘটনা। ইউটিউবে প্রথমদিনেই প্রায় পাঁচ লাখ হিট হয় এটিতে। পরবর্তীতে ৮৩ কোটি বার ইউটিউবে এই ভিডিওটি দেখেন দর্শকরা। জাস্টিন বিবারের ‘বেবি’কে টপকে ওয়েবসাইটটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ হিটের অধিকারী এখন ‘গ্যাংনাম স্টাইল’।


ঘোড়ায় চড়ার মতো একটা স্টেপের জন্য বিখ্যাত গ্যাংনাম স্টাইল। টি-পেইন টুইটারে পোস্ট করেন, “নাচটা এত মজার যে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।” ঘোড়ার আস্তাবল, বাচ্চাদের খেলার মাঠ, ট্রেনসহ আরও অনেক সেট এ শুটিং হয় এর। পুরো মিউজিক ভিডিওতে মজার মজার সব দৃশ্যের মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় দৃশ্য হচ্ছে এলিভেটরের দৃশ্য, যেখানে সাই-এর সহশিল্পী কোমর দুলাতে থাকে আর তার নীচে শুয়ে থাকা অবস্থায় গান গেয়ে যেতে থাকেন তিনি, যতক্ষণ না লিফটের দরজা বন্ধ হয়। আর সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে এনিমেটেড সাই, মিউজিক ভিডিওটির একদম শেষে আবির্ভূত হয় এটি।

মজার ব্যাপার হলো, যে শিল্পীর কারণে পুরো বিশ্ব এখন মেতে আছে ‘গ্যাংনাম স্টাইল’-এ, সেই সাই এর কিন্তু আদতে হওয়ার কথা ছিলো একজন ঝানু ব্যাবসায়ী। সাই এর বাবা অন্তত তার ছেলের জন্য ঠিক করে রেখেছিলেন এমনটাই। আর তাই ১৯৯৬ সালে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক হওয়ার জন্য ছেলেকে তিনি পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ইউনিভার্সিটিতে। কিন্তু বাণিজ্য নিয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়ে সাই ভর্তি হয়ে যান বিখ্যাত ‘বার্কলে কলেজ অফ মিউজিক’ এ। আর এই ‘অপরাধে’ সেসময় সাইকে পড়ার খরচ পাঠানোও বন্ধ করে দিয়েছিলেন তার বাবা। নিজের জীবনের সেই অধ্যায় সাই স¤প্রতি তুলে ধরেছিলেন ‘সিএনএন টক এশিয়া’য়।


টিভি চ্যানেল আর ওয়েবসাইট গুলোর পর সাই এর রাজত্ব চলেচে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানগুলোতেও। সম্প্রতি এমটিভি ইউরোপ অ্যাওয়ার্ডে “বেস্ট মিউজিক ভিডিও”-এর পুরস্কার জেতে “গ্যাংনাম স্টাইল”। সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব ক্ষেত্রের মানুষদের মধ্যেও একটি ক্রেজে পরিণত হয় এটি।


বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বেশ ভালোভাবেই গ্যাংনাম স্টাইলের মাধ্যমে নিজের রাজত্ব কায়েম করতে সক্ষম হয়েছেন সাই। জ্যামাইকান ক্রিকেটার ক্রিস গেইল এবার আইসিসি টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার খেলার সময়, দু’ইটি উইকেট নিয়ে দুইবার গ্যাংনাম স্টাইলে নেচে বিজয় উদযাপন করেন। পরে বিশ্বকাপ জিতে পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সেলিব্রেশনেও চলে এসেছিলো এটিই। একই ভঙ্গীতে বিজয়ের হাসি হাসেন টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচও, এবছরের চায়না ওপেন এর একটি ম্যাচ জেতার পর। এই তালিকায় আরও আছেন অ্যামেরিকান ¯িপ্রন্টার জাস্টিন গ্যাটলিন। জিয়ান সিটি হল ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথন জেতার পর এই স্টাইলে নেচে বিজয় উপভোগ করেন তিনি।


অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, “এই মাত্র ভিডিওটা দেখলাম আমি, আমার ধারণা আমিও ওভাবে নাচতে পারব। তবে এখনই সবাইকে সেটা দেখান যাবে না, হয়তো মিশেলের জন্য একান্তে নেচে দেখাব।” ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, “আমি গ্যাংনাম স্টাইল খুবই পছন্দ করি। আমার টিনএজ ছেলে সারাক্ষণ গ্যাংনাম স্টাইলে নাচতে থাকে।” তবে এটি নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস সবচেয়ে বেশি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তার ভাষ্যে, ‘গ্যাংনাম স্টাইল দারুণভাবে বিশ্ব সম্প্রীতিকে তুলে ধরতে সাহায্য করেছে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব দেশের সব মানুষকে এক সুতোয় গেঁথেছে এটি!’ 

সঙ্গীতশিল্পী কেটি পেরি টুইটারে পোস্ট করেন, ‘কেউ আমাকে সাহায্য করুন, আমি গ্যাংনাম স্টাইলে আক্রান্ত!’ ব্রিটনি স্পিয়ারসহ নাচটা শিখতে চেয়েছেন, টম ক্রুজ, জাস্টিন বিবার। এই তালিকা আরও অনেক দীর্ঘ।

এমনকি অ্যানড্রয়েড এর ইনপুট মেথডের শব্দ তালিকায় “গ্যাংনাম স্টাইল” অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভিডিও গেমস বানানো হয়েছে এই স্টাইলের উপর।


বিভিন্ন জায়গায় ফ্ল্যাশ মবিং শুরু হয় এই স্টাইল নিয়ে। প্রথম হয় ক্যালিফোর্নিয়া আর সিডনিতে। এরপর ম্যানহ্যাটনের টাইম স্কয়ারে, এবি'র “গুড মর্নিং আমেরিকা” অনুষ্ঠান চলার সময়ে। এরপর আর্জেন্টিনা, রাশিয়াসহ আরও অনেক জায়গায়। ইতালিতে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলো এই ‘গ্যাংনাম স্টাইল’-এরই এক ফ্ল্যাশ মবিং এ। থাইল্যান্ডের একটি গ্রামের ভূত উৎসবেও এ স্টাইলে নাচ প্রদর্শিত হয়। এমনকি ঢাকার কারওয়ানবাজারেও এটি নিয়ে ফ্ল্যাশ মবিং হয়েছিলো কিছুদিন আগে।

সাই এর এই গানের কথা যাই হোক, এই কম্পোজিশন আর মিউজিক ভিডিওটির কোরিওগ্রাফি, আর অদ্ভুত মজার এই গ্যাংনাম স্টাইল, এক অনন্য অসাধারণত্ব এনে দিয়েছে “ওপ্পা গ্যাংনাম স্টাইল”-কে। আর তাইতো পুরো বিশ্ব মাতোয়ারা “গ্যাংনাম স্টাইল” জ্বরে।

এই ব্যাপক সাফল্যের পর সাই এবারে পরিকল্পনা করছেন এটির সিকুয়েল ভিডিও প্রকাশের। সিক্যুয়েলটি তৈরি হলে সেটিও যে পাবে একই রকমের সাফল্য, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই কারো।

No comments:

Post a Comment